বাংলাদেশ

পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর...

8754_IMG_2388.jpeg

ঠিকাদার মোহন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। তার বাড়ির কাছেই ফ্ল্যাট কিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন আরেক বন্ধু। সেই বন্ধুর কাছে মোটা অংকের টাকা পাওনা ছিল মোহন। আর সেই টাকা দিতে না ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তান রেখে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। একপর্যায়ে পাওনা টাকার জন্য সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন মোহন। বিয়ের পর সাথী আক্তার পূর্বের স্বামীর ক্রয় করা ফ্ল্যাটেই বসবাস করেন।

মোহন ওই ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করলেও সাথীর ভরণপোষণ দিতেন না। এ নিয়ে প্রায় সময় মোহন ও সাথীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় ভরণপোষণ না দেওয়ায় মোহনকে ধাওয়া করে শনিবার মধ্যরাতে কচুক্ষেতের পানিতে নামিয়ে এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হন মোহন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার সাইনবোর্ড তুষারধারা এলাকায়।

ঠিকাদার মোহন বলেন, সাথীকে প্রথমে মৌখিকভাবে বিয়ে করি। পরে ৫ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে কাজির মাধ্যমে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে নিয়মিত ভরণপোষণ দিয়ে আসছি। কয়েক দিন আগেও চালের বস্তা কিনে দিয়েছি। বাজারও করে দিয়েছি। কিন্তু সাথী আমাকে ঘরে থাকতে দেয় না। তার কারণ, সাথীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণও আমার কাছে আছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই সাথী আমাকে মারধর করতে চায়, ঘর থেকে বের করে দেয়।

তিনি বলেন, রাত প্রায় ১২টার সময় সাথীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে কেউ শব্দ করেনি। কিন্তু ঘরে লোকজন আছে শব্দ পেয়েছি। এতে জোরে দরজা ধাক্কা দিলে সাথী গালাগাল করে চলে যেতে বলেন। আমি যাব না বললে সাথী তার তিনজন লোক হাতে রড ও লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করার জন্য পাঠায়। তখন দৌড় দিলে তারা পিছু নেয় এবং মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে জীবন বাঁচানোর জন্য সড়কের পাশে কচুক্ষেতের ভেতর ঢুকে পড়ি। ওই ক্ষেতে বুক সমান অনেক ঠান্ডা পানি ছিল। ওই সময় ডাকাডাকি করেও কাউকে পাইনি। তারা আমাকে পানিতে এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। তখন প্রথম স্ত্রীকে ফোন করে তার সহযোগিতা চাই। এরপর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মোহনকে ভেজা অবস্থায় কচুক্ষেতের সামনে পেয়েছি।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও