দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেছেন ড. ইউনূসকে নিয়ে পিটার হাস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। না জেনে, না বুঝে স্বাধীন বাংলাদেশে থেকে এমন বক্তব্য পুরোপুরি আদালত অবমাননা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন দুদক আইনজীবী।
খুরশীদ আলম বলেন, পিটার হাস যে মন্তব্য করেছেন তা একমাত্র বলতে পারেন আদালত কিন্তু কেন পিটার হাস এ কথা বলবেন? আমি বাংলাদেশ সরকারকে বলব— পিটার হাসের ব্যাপারে আপনারা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেন এবং এ বিষয়গুলো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, পিটার হাস ড. ইউনূসকে পছন্দ করতে পারেন এবং তাকে আপ্যায়নও করতে পারেন সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তার নামে দেশের বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবেন তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইন না জেনে ও না বুঝে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত আমাদের দেশে বসে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না ।
এর আগে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল পেজে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে ড. ইউনূসকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের আতিথেয়তা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
তিনি আরও লেখেন, ড. ইউনুস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের অর্থ লোপাট, কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ এবং সহযোগী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অর্থ স্থানান্তর করা। এমন গুরুতর সব অভিযোগে দেশব্যাপী ১৬৮ মামলা রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে।