প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছেই। বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তথ্য এলোমেলো করে ফেলার পর এই চাপ আরও বাড়ছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি তারই ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে বলেন ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প’। আবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নাম বলতে গিয়ে বলেন ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন’। এর ফলে তার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তীব্র হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের পর প্রতিনিধি পরিষদের আরও কমপক্ষে তিনজন সদস্য তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা হলেন, ডেমোক্রেট জিম হাইমস (কানেকটিকাট), স্কট পিটার (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং এরিক সোরেনসেন (ইলিনয়)। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিল।প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে তাদের অবস্থান জানিয়ে দেন। তারা বলেন, আগামী ৫ই নভেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য বাইডেন শক্তিশালী প্রার্থী নন। এর মধ্য দিয়ে তারা একই মানসিকতার অন্য ১৩ জন প্রতিনিধি সদস্য ও একজন সিনেট ডেমোক্রেট সদস্য পিটার ওয়েলচের সঙ্গে যুক্ত হলেন।
তারা সবাই বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট জিম হাইম বলেছেন, ২০২৪ সালের এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভবিষ্যতকে সংজ্ঞায়িত করবে। ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত কর্তৃত্ববাদী হুমকি মোকাবিলা করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে একজন শক্তিধর প্রার্থী দিতে হবে। সেই প্রার্থী জো বাইডেন- এটা এখন আর আমি বিশ্বাস করি না। আমি আশা করি তিনি জীবনের প্রায় পুরোটা সময় জনসেবায় কাটিয়েছেন। এখনতিনি দেশকে প্রাধান্য দেবেন এবং নিজের প্রতিশ্রুতি রাখবেন। তার প্রতিশ্রুতি নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে পথ করে দেয়া। অন্যদিকে ২০১৩ সাল থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য স্কট পিটার। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের জেতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নির্বাচিত নেতা, সমর্থক এবং ভোটারদের মধ্যে। সামনের সারির আইনপ্রণেতা সরেনসেন বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্বাচন করেছিলেন দলের চেয়ে দেশের স্বার্থে। এখন আবার আমি তাকে সেই কাজটিই করতে বলি।