যুক্তরাষ্ট্র

ব্লিঙ্কেনের শেষ ব্রিফিং থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করা হলো সাংবাদিককে

10392_68b2d7d406d11d1ac11f10ecbc0cfaf4_bil_jar.jpg

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার মন্ত্রিত্বের শেষ সময়টা কাটাচ্ছেন। গত ১৬ জানুয়ারি শেষবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন তিনি। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে কথা বলছিলেন ব্লিঙ্কেন। তিনি ব্যখ্যা করার চেষ্টা করছিলেন হাজার হাজার বেসামরিক নিহত হওয়ার পরও, কেন তারা ইসরায়েলকে বোমাসহ অন্যান্য মারণাস্ত্র দিয়ে গেছেন।

ওই সময় সাম হুসেইনি নামের এক সাংবাদিক ব্লিঙ্কেনকে বলেন, “অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে শুরু করে সবাই বলছে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। আর আপনি বলছেন এই প্রক্রিয়াকে সম্মান জানানোর জন্য?”

এই প্রশ্ন করার পর সাম হুসেইনিকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যেতে থাকেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তখন ব্লিঙ্কেনকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, “ক্রিমিনাল, আপনি কেন হেগে নয়?”। এরমাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) বুঝিয়েছেন তিনি। এ আদালত যুদ্ধপরাধের অভিযোগে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ম্যাক্স ব্লুমেন্থাল নামের অপর এক মার্কিন সাংবাদিক বলেন, “গত বছরের মে মাসেই যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছিল। আমরা জানি, তখন চুক্তি হয়েছিল। এই রুমের সবাই জানে চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসরায়েলকে কেন আপনি বোমা দেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন। গাজায় ৩০০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কেন ইহুদিবাদকে রক্ষায় আপনি আইনের শাসনকে বিসর্জন দিয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “কেন আপনি আমার বন্ধুদের গণহত্যার শিকার হতে দিয়েছেন। কেন গাজায় আমার বন্ধুদের বাড়ি ধ্বংস হতে দিয়েছেন। যখন মে মাসে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে।”

গত ১৫ মাস গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে অসংখ্য যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে ইসরায়েল। যেগুলোতে সহায়তা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তাদেরকেও অনেকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিহিত করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনের আগে আরেক অনুষ্ঠানে তোপের মুখে পড়েছিলেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে থেকে ‘গণহত্যার পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ হিসেবে অভিহিত করেন এক বিক্ষোভকারী।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও