সারা বিশ্ব

মালয়েশিয়ায় স্বদেশীকে অপহরণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি ৪ বাংলাদেশী

আশরাফুল মামুন,

মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশী প্রবাসীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির দায়ে চারজন বাংলাদেশী নারী-পুরুষ ও একজন মালয়েশিয়ান নারী এখন আদালতের বিচারে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের মুখোমুখি রয়েছেন।

ওই বাংলাদেশীকে অপহরণ করে তার স্বজনের কাছে ৫০ হাজার রিংগিত যা বাংলাদেশী টাকায় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল আসামিরা।

শুক্রবার বিকেলে এই তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সিনার হারিয়ান।

শুক্রবার এই পাঁচ অপহরণকারীকে কাজাং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির জন্য হাজির করা হয়েছিল।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত ৩০ আগস্ট রাতে জালান দামাই মেওয়াহ ১-এর পাসার মিনি মার্কেটের (মুদির দোকান) সামনে থেকে সোহেল রানা (৩৯) নামে এক বাংলাদেশী যুবককে অপহরণ করে ওই পাঁচ অপহরণকারী। অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় পুলিশ কাজাং টেকনোলজি শহরের একটি বাড়ি থেকে অপহৃত সোহেল রানাকে উদ্ধার করেন।

অপহরণকারী পাঁচজন হলেন, বাংলাদেশী নাগরিক রায়হান হোসেন (২৮), সোরাফ মিয়া (৩৩), নুসরাত জাহান বিপাশা (২৬), মো: জসিম (৩২) ও তার মালয়েশিয়ান স্ত্রী ফরিদাহ জিয়া স্লি রমেশ (২৭)।

তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অপহরণ বিরোধী জাতীয় আইন ১৯৬১-এর ৩য় ধারার (ক) উপধারায় স্থানীয় পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ধারায় তাদের অপরাধ প্রমাণীত হলে আদালত মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিতে পারেন এবং সাথে দোররা মারার আদেশ হতে পারে।

বিচারক নুরুল হুসনাহ আমরানের বেঞ্চে মামলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে। আসামি মো: রায়হান ও জসিমের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিস্টার তান চেং ইয়ে এবং অন্য তিন আসামির পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিল না।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীরা আরেক বাংলাদেশী চক্র দ্বারা অপহরণের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশী অপরাধ চক্রটিকে সহযোগিতা করছে ইন্ডিয়ান তামিল সন্ত্রাসীরা। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে দেশটির প্রশাসন এই অপরাধী চক্রটিকে দমনে কাজ করায় আগে অহরহ অপহরণের ঘটনা ঘটলেও এখন কিছুটা কমেছে।
 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও