ভোট চেয়েছিলেন ইলন মাস্ক। লোকজন সে ডাকে সাড়াও দিয়েছেন। সে ফলাফল বলছে, ইলন মাস্কের উচিৎ টুইটার প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া।
মাস্কের জরিপে ভোট পড়েছে মোট পৌনে দুই কোটি। মাস্কের সরে দাঁড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন সাড়ে ৫৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। এর আগে, টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন কি না – মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে এবার সে প্রশ্ন তুলেছেন চিফ টুইট ইলন মাস্ক।
সোমবার গ্রিনউইচ মান সময় ১১টা ২০ মিনিটে জরিপের সময় শেষ হয়। তবে, জরিপের ফলাফল তাকে টুইটার প্রধানের পদ ছাড়তে বললে তিনি কী করবেন– তার বিস্তারিত জানাননি টুইটারের মালিক।
তবে, টুইটারের সম্ভাব্য নতুন প্রধান নির্বাহী নিয়ে এক ফলোয়ারের প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক বলেছেন, “এখনও কোনো উত্তরসূরী নির্বাচিত নেই।”
এরই মধ্যে টেসলা, যে কোম্পানির উদ্যোক্তা হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত মাস্ক, তার শেয়ার মূল্য বেড়েছে শতকরা পাঁচ ভাগের বেশি। টুইটারের পেছনে সময় দিতে গিয়ে মাস্ক টেসলাকে দরকারি সময় দিতে পারছেন না, এমন ভয় আগে থেকেই ছিল টেসলায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
টুইটার কেনার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পর থেকেই টেসলার শেয়ার মূল্য কমছিল। এর ধারাবাহিকতায় এ মাসের শুরুতে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর অবস্থান হারান এ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।
টেসলা এবং সম্প্রতি কেনা টুইটারের বাইরেও টানেল খনন কোম্পানি বোরিং, মস্তিষ্কে চিপ বসানোর কোম্পানি নিউরালিংক এবং মহাকাশ অভিযাত্রায় নিবেদিত স্পেসএক্সও তারই প্রতিষ্ঠিত।
গত মাসেও যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারের আদালতে মাস্ক বলেছিলেন, ধীরে ধীরে টুইটারে সময় দেওয়া কমিয়ে দেবেন তিনি এবং এক পর্যায়ে কোম্পানির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নতুন কাউকে খুঁজে নেবেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, রোববারের নীতিমালা পরিবর্তনের জেরে কঠোর সমালোচনার শুরু হওয়ার পর চিফ টুইট হিসেবে নিজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণী জরিপটি চালু করেছেন মাস্ক।
রোববারে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক মাধ্যমের প্রচারণা চালায় এমন অ্যাকাউন্ট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মের লিংক বা ইউজারনেইম আছে এমন কনটেন্ট নিষিদ্ধ করেছিল মাস্কের টুইটার।
নতুন জরিপ চালু করার কয়েক মিনিট আগেই নীতিমালা পরিবর্তন নিয়ে ক্ষমা চেয়ে মাস্ক টুইট করেন, “আগামীতে নীতিমালায় বড় পরিবর্তনের আগে ভোট নেওয়া হবে। আমি ক্ষমা চাইছি, আর এমনটি আর হবে না।”