সারা বিশ্ব

যেসব কারণে এতক্ষণ জেরার মুখে পড়লেন টিকটক সিইও

6179_TikTok_ceo.jpg

মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের কঠিন জেরার মুখে পড়েন টিকটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাও জি চিউ। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে

মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের কঠিন জেরার মুখে পড়েছিলেন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাও জি চিউ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটির সামনে উপস্থিত হন তিনি।

এ সময় শাও জি চিউকে টানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় জেরা করা হয়। মোটাদাগে দুটি বিষয় নিয়ে টিকটক সিইওকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। এগুলো হলো টিকটকের চীন সম্পৃক্ততা ও টিকটক ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা।

চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি—এমন অভিযোগ বেশ পুরোনো। অ্যাপটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য টিকটক কর্তৃপক্ষ চীনের হাতে তুলে দেয়। চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করে টিকটক। এ জন্য মার্কিন মুলুকে টিকটক নিষিদ্ধের দাবিও উঠেছে। এ দাবির পক্ষে রয়েছে অনেক আইনপ্রণেতাও।

এমন উদ্বেগ–উৎকণ্ঠার মধ্যেও টিকটকের জনপ্রিয়তা কমেনি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। বিশেষত কিশোর–কিশোরীদের মধ্যে অ্যাপটির তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন ৪০ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরের নাগরিক শাও জি চিউ। এবারই প্রথম টিকটকের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা মার্কিন কংগ্রেসে সাক্ষ্য দিলেন।

শুরুতেই বাইটড্যান্সের নির্বাহীদের সঙ্গে শাও জি চিউয়ের সম্পর্ক ও যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। মার্কিন আইনপ্রণেতারা বলেন, বাইটড্যান্সের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জোরালো সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ সময় কমিটির সামনে শাও জি চিউ সাফ জানিয়ে দেন, ‘বাইটড্যান্স চীন কিংবা অন্য কোনো দেশের এজেন্ট নয়।’

রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা গুস বিরিরাকিস অভিযোগ করেন, কমবয়সী ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করছে টিকটক। এসব ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি ১৬ বছর বয়সী চেস নাসকার উদাহরণ দেন। মার্কিন এই কিশোর টিকটক করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছিল। পরে ওই কিশোরের মা–বাবা বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, টিকটকের কনটেন্ট কিশোর–কিশোরীদের নিজেদের ক্ষতি করতে উদ্বুদ্ধ করছে।


উৎস: প্রথম আলো 

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও