সারা বিশ্ব

ইসরাইলের আগ্রাসনে জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী নিহত

8178_IMG_7037.jpeg

৭ অক্টোবর শুরু হওয়া গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতে জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র ৮৮ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

সোমবার টাইমস অফ ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের সকল প্রধান সংস্থার প্রধানদের যৌথ বিবৃতি অনুসারে, চলমান সংঘাতে জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে।

বিবৃতিতে গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যায় বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘ এই বিবৃতিতে হামাসের হাতে বন্দী ইসরাইলি নাগরিকদের মুক্তি দেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যুদ্ধের ব্যাপ্তিকাল ৩০ দিন হয়ে গেছে, যথেষ্ট হয়েছে, এটা এখনই বন্ধ করতে হবে।

এদিকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।


উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে 'অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম' শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। সূত্র : টাইমস অফ ইসরাইল

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও