সারা বিশ্ব

পর্তুগালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭

10363_IMG_4716.jpeg

পর্তুগালে বিএনপির এক নেতার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় জড়িয়েছে দলের দুই গ্রুপ, এতে আহত হয়েছেন ৭ জন।

রোববার দুপুরে রাজধানী লিসবনের রুয়া দো বেনফরমোসো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সংবাদ পুলিশের বরাত দিয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

বিভিন্ন সংবাদে বলা হয়, আহতরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে সাও জোসে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

অপর চারজন পুলিশের সদর দপ্তরে যান, সেখানে জাতীয় জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার (আইএনইএম) মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশি আব্দুস সালাম জানান, “পর্তুগালের বেজা শহরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ সভাপতি কালাল আহমেদের জন্মদিনের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত। উভয়পক্ষের ব্যক্তিগত সমস্যার জের ধরে এ হামলা।”

পুলিশের প্রথম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক ইউরি রদ্রিগেস জানান, “একজন ভুক্তভোগী তার নিম্নাঙ্গে ছুরিকাহত হয়েছেন এবং আরেকজন তার পিঠের নিচের দিকে। দুজনকেই ঘটনাস্থলে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে সাও জোসে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।”

পুলিশ এই ঘটনার বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরকে জানিয়েছে এবং ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে পুলিশি টহল বাড়িয়েছে।

এ ঘটনায় পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশিদের বসবাসের এলাকা রুয়া দো বেনফরমোসোতে পর্তুগিজ টেলিভিশন চ্যানেল, সাংবাদিক ও পুলিশের উপস্থিতি বেড়েছে।

এ ব্যাপারে কমিউনিটি নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশিদের দুই পক্ষের এ ধরনের হামলা দুঃখজনক, পর্তুগালের আরেকটি শহর থেকে এসে বাংলাদেশি পাড়ায় সন্ত্রাসীরা এ হামলায় চালায়।”

ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তথ্য, ঘটনা রেকর্ড এবং নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান সংস্থাটির প্রথম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক ইউরি রদ্রিগেস।

দলীয় সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে পর্তুগাল বিএনপির সদস্য-সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট বলেন, “বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীদের ছাড় নেই। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত কেউই পর্তুগাল বিএনপির পদে থাকতে বা আসতে পারবেন না।”

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও