সারা বিশ্ব

কাবুল বিমানবন্দরে ৫ রকেট হামলা

137_Screenshot_20210830-140414_All Newspapers.jpg

বিমানবন্দরে রকেট হামলায় সৃষ্ট ধোঁয়া - ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। সোমবার সকালে এই রকেট হামলা চালানো হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন বিমানবন্দরে নিযুক্ত এক মার্কিন কর্মকর্তা।

হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সি-র‌্যাম ডিফেন্স সিস্টেম চালু করা হয় বলে জানান তিনি।

হামলার কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, উগ্রবাদী সংগঠন আইএস এই হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করছেন তবে সতর্কতার জন্য এখনই এটি নিশ্চিত করতে পারছেন না তিনি।

এদিকে আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজে জানানো হয়, সোমবার সকালে কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক দফা রকেট হামলা চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে খবরে জানানো হয়, কাবুলের খাইর খানা এলাকায় একটি গাড়ি থেকে বিমানবন্দর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

তবে হামলাকারীদের পরিণতি সম্পর্কে খবরে কিছু জানানো হয়নি।

রোববার কাবুল বিমানবন্দরের কাছে খাজা বুগরা এলাকায় এক রকেট হামলা চালানো হয়। হামলায় ছয় শিশুসহ মোট নয় জন নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের নেয়ার পর হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সৈন্যসহ মোট ১৭৫ জন নিহত ও দুই শ'র বেশি লোক আহত হয়।

হামলার জন্য উগ্রবাদী সংগঠন আইএস দায় স্বীকার করেছিলো।

১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটিতে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও বিপুল সংখ্যক আফগান নাগরিক দেশত্যাগের জন্য কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানব্ন্দরে ভিড় করে।

১৪ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো এক লাখের বেশি বিদেশী নাগরিক ও আফগানকে দেশটি থেকে বের করে নিয়ে গেছে।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার পিছু হটে।

তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলে দেশটিতে।

দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দখলের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় ওয়াশিংটন। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।

চুক্তি অনুসারে ক্ষমতাসীন থাকা মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আফগান সরকারের সমঝোতার জন্য তালেবান চেষ্টা করলেও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাতে শুরু করে তালেবান। মে থেকে অভিযান শুরুর পর সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের অধিকার নেয় তালেবান যোদ্ধারা।

সূত্র : সিএনএন ও তোলো নিউজ

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও