সারা বিশ্ব

প্রথমবারের মতো তালেবানের সাথে ব্রিটিশদের আলোচনা, কী চায় তারা

 

 

প্রথমবারের মতো তালেবানের সাথে ব্রিটিশদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রতিনিধি সাইমন গ্যাস কাতার গিয়েছিলেন তালেবান নেতাদের সাথে বৈঠক করার জন্য। এ কূটনীতিক পর্যায়ের আলোচনার সময় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে তালেবানরা তাদের নাগরিক ও সাবেক সহকর্মীদের নিরাপদে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দিক। বুধবার কাতারের গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

আফগানিস্তানে পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের পতনের আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তালেবান নেতা কাতারে নির্বাসনে ছিলেন। আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর অধিকাংশ তালেবান নেতারা এখন দেশে ফিরে গেছেন। এখন কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করছেন তালেবান কর্তৃপক্ষের কূটনীতিক প্রতিনিধিরা। তাদের সাথে আলোচনা করার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিশেষ প্রতিনিধি সাইমন গ্যাস বিমানে করে কাতার যান বলে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তালেবানের সাথে এটাই ছিল ব্রিটিশদের প্রথম কূটনীতিক পর্যায়ের আলোচনা বৈঠক। ওই বৈঠকে তালেবানের কাছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের মূল দাবি ছিল দেশটির নাগরিক ও সাবেক সহকর্মীদের নিরাপদে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হোক। এসব সহকর্মী গত ২০ বছর ধরে তাদের সাথে কাজ করেছেন।

তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর পশ্চিমা সমর্থক এক লাখ ব্যক্তি দেশত্যাগ করেছেন। তারপরেও ন্যাটো ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে কাজ করা অনেক ব্যক্তি আফগানিস্তানে রয়ে গেছেন। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে ব্রিটিশ নাগরিক ও তাদের কর্মচারীরা আছেন। এসব ব্যক্তিদের সরিয়ে নেয়ার জন্যই তালেবানের সাথে আলোচনায় বসে ব্রিটিশরা।

এর আগে বাইডেন প্রশাসনের কাছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ ছিল বিদেশী সেনা সরিয়ে নেয়ার সময় বাড়ানো হোক। কিন্তু ৩১ আগস্টের পরে আর কোনো বিদেশী সেনা আফগানিস্তানে থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ কারণে যুক্তরাজ্যের সেনাদের সরিয়ে নিতে হয়। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ব্রিটিশরা আফগানিস্তানে থাকতে পারতেন না। এ কারণেই বহু ব্রিটিশ নাগরিক ও তাদের কর্মচারীরা বর্তমানে আফগানিস্তানে আছেন।

এদিকে তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি তালেবানদের কথায় নয়, বরং তাদের কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিবেন।

অপরদিকে তালেবান কর্তৃপক্ষ কাবুলসহ সমগ্র আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সময় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন বলে তার সমালোচনায় মেতেছেন দেশটির লেবার দলের নেতারা। কারণ, তিনি ওই সময় কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি।

সূত্র : আল-জাজিরা

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও