সিলেট

সিলেট-৩ আসনে এগিয়ে আওয়ামী লীগের হাবিব সিলেট ব্যুরো

সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মাত্র ১৪ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হাবিব নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ১৭ ভোট এবং জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল প্রতীকে ১ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়েছেন।


জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার ১৪৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। রিটার্নিং অফিসার সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাজী ফারুক আহমদ জানিয়েছেন, কেন্দ্রভিত্তিক তাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হাবিব ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০৪ ভোট। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান সমকালকে বলেন, আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী হাবিবুর রহমান ৬৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।  

গত ১১ মার্চ আওয়ামী লীগের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনায় মারা গেলে সিলেট-৩ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন পেছানোর পর শনিবার ভোটের চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। গত ২৯ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভোটের তারিখ ঘোষণার করা হয়। প্রথমে ৮ জুন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করলেও করোনার জন্য তা হয়নি। এরপর ১৪ ও ২৮ জুলাই ভোটের দিন চূড়ান্ত হলেও উপনির্বাচন হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। তবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এজন্য তাকে বহিষ্কারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে বিএনপি। ফলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিপুল প্রচারের বিপরীতে শফি চৌধুরীকে লড়াই করতে হয় একাই। এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া উপনির্বাচনে প্রার্থী হলেও দীর্ঘ দুই মাসের প্রচারে ভোটাররা তাকে দেখেননি।

দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। সকাল ১০টার দিকে রেবতি রমন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি জাপার প্রার্থী আতিক। তিনি জানান, আঙুলের ছাপ না মেলায় তাকে দেড়-দুই ঘণ্টা পরে আবার যেতে বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিকেলে একই কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেন লাঙল প্রতীকের প্রার্থী আতিক।

বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেন রিটার্নিং অফিসার সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। দুপুরে দক্ষিণ সুরমা রেবতি রমন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ৩০-৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়তে পারে। তিনি বলেন, আমরা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছি। কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। তারপরও কেন মানুষ ভোটে আসেনি, তা বলতে পারবো না।

সর্বাধিক পঠিত


ভিডিও